স্কুল পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক স্কুল সেমিনার-২০২২ বাস্তবায়ন প্রতিবেদন
আয়োজনে:-বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জলো র্কাযালয়,খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা
স্থান: বাবুছড়া উচ্চ বিদ্যালয়,দিঘীনালা,খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা
তারিখ: ১৫/১১/২০২২ ইং
“জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সকলের জন্য নিরাপদ খাদ্য” এই রূপকল্প সামনে রেখে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচলনা করে আসছে। এই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার উদ্যোগে দিঘীনালা উপজেলায় বাবুছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে গত ১৫ নভেম্বর, ২০২২ তারিখে স্কুল পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক স্কুল সেমিনারের আয়োজন করা হয়। উক্ত সেমিনারে আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দিঘীনালা উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক ও স্যানিটরি ইন্সপেক্টর জনাব তৎযিম চাকমা, বাবুছড়া উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক মহোদয় ও নিরাপদ খাদ্য অফিসার জনাব মো: সাহেদুর রহমান ।
সামগ্রিক কার্যক্রম:
১.উদ্ভোধন ও স্বাগত বক্তব্য :
বাবুছড়া উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক মহোদয় সেমিনারের উদ্ভোধন ঘোষণা করে সকল শিক্ষার্থীদের মনোযোগ আকর্ষন করে বলেন,“বর্তমানে দেশের আনাচে কানাচে খাদ্যে ভেজাল দেওয়া হচ্ছে। বাজার থেকে যে খাদ্য কিনা হউক না কেন, সবকিছুতেই রাসায়নিক মেশানো হচ্ছে। এ সব অনিরাপদ খাদ্য খেয়ে মানুষ প্রতিনিয়ত অসুস্থ্য হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য খাতে বিপর্যয় সৃষ্টি করছে”।এছাড়া তিনি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিরাপদ খাদ্য,সুষম খাদ্য ও ভেজাল খাদ্য নিয়ে জ্ঞানগর্ভ উপস্থাপনা করেন।
২.নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক প্রাথমিক ধারণা প্রদান:
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার নিরাপদ খাদ্য অফিসার জনাব মো: সাহেদুর রহমান শিক্ষার্থীদের নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দিয়ে বলেন, “প্রাণীজ খাদ্যে বর্তমানে বিভিন্ন হরমোন ও রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে। এ রাসায়নিক হরমোন প্রাণীজ প্রোটিনের মধ্য দিয়ে আমাদের শরীরে প্রবেশ করছে এবং দীর্ঘমেয়াদী মারাত্বক অসুখ সৃষ্টি করছে।”এছাড়া ও তিনি দূষিত খাবার গ্রহণের ফলে মানব শরীরে যে নানা রকম রোগজীবাণু বাসা বাধছেঁ সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি নিরাপদ খাদ্যের গুরুত্ব ও অনিরাপদ খাদ্যের ভয়াবহতা সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, ‘কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে খাদ্যের নিরাপদতা নিয়ে আজ আমরা চিন্তিত। অনিরাপদ ও ভেজাল খাদ্য গ্রহণের ফলে আমরা প্রায় ২০০ এর অধিক খাদ্যবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছি। ফলে আমাদের রোজগারের প্রায় বেশিরভাগ অর্থই আজ খরচ হচ্ছে ডাক্তার আর ঔষধ কিনতে। ফলে আমরা যেমন অর্থনৈতিক দিকে দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি তেমনি শারীরিক দিক দিয়ে ও দুর্বল হচ্ছি। তাই তিনি নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তিকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করার আহ্বান জানান। তাছাড়া তিনি শিক্ষার্থীদের স্কুলে ও ঘরে ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার,হাত ধোঁয়ার নিয়মাবলি সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেন।
৩.নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক ভিডিও প্রদর্শন:
এরপর শিক্ষার্থীদের নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক ভিডিও প্রদর্শন করা হয় যেগুলো তারা খুবই মনোযোগ সহকারে দেখে এবং এ সম্পর্কে তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন নিরাপদ খাদ্য অফিসার জনাব মো: সাহেদুর রহমান।
৪.সচেতনতামূলক লিফলেট প্রদান ও তার ধারণা প্রদান:
এরপর ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে খাদ্যের নিরাপদতা বিষয়ক বিভিন্ন পোস্টার,লিফলেট বিতরণ করা হয়।উক্ত পোস্টার,লিফলেট সম্পর্কে তাদের প্রাথমিক ধারণা দেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খাগড়াছড়ি জেলার নমুনা সংগ্রহ সহকারী জনাব আবদুল কাদের।
৫.কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন:
শিক্ষার্থীদের দেওয়া খাদ্যের নিরাপদতা বিষয়ক বিভিন্ন পোস্টার,লিফলেট মনোযোগ সহকারে পড়ে শিক্ষার্থীরা এক কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। নিরাপদ খাদ্য অফিসার শিক্ষার্থীদের খাদ্য বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্ন করেন এবং শিক্ষার্থীরা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ১ম,২য় ও ৩য় নির্বাচিত হয়।
৬.কুইজ প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ:
সবার শেষে কুইজ প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার প্রদান করা হয়। পুরষ্কার প্রদান করেন স্যানিটরি ইন্সপেক্টর জনাব তৎযিম চাকমা, বাবুছড়ি উচ্চ বিদ্যালয় এর সহকারী শিক্ষক মহোদয় ও নিরাপদ খাদ্য অফিসার জনাব মো: সাহেদুর রহমান উল্লেখ্য যে,উপস্থিত সকল শিক্ষার্থীদের সান্তনা পুরষ্কার দেওয়া হয়।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS